শ্রীলংকায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনে রাজধানী কলম্বোয় বিক্ষোভকারীদের মূল আন্দোলন স্থলে রাতভর অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। রাতভর চলা সেনা অভিযানে বিক্ষোভকারীদের ব্যবহৃত তাবুগুলোও ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।

এসময় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একজন সাংবাদিকের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ রয়েছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নেয়ার পর এই অভিযান চালানো হলো। শুক্রবার বিকেলের মধ্যে এলাকাটি খালি করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলো বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু তার আগেই অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

রনিল বিক্রমাসিংহে শপথ নেওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা করেছিলেন যে তারা শুক্রবার বিকেলের মধ্যে এলাকাটি খালি করার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু তার আগেই অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেনারা গত এপ্রিল থেকে হাজার হাজার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীর রসদ সরবরাহের জন্য এলাকায় স্থাপিত বেশ কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামো অপসারণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে।

এর আগে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সামরিক বিমানে করে দেশ ছেড়ে পালান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। রাজাপাকসে পালিয়ে মালদ্বীপে যান। এরপর সেখান থেকেই সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান। গোতাবায়া রাজাপাকসের দেশত্যাগের মধ্যদিয়ে শ্রীলঙ্কায় একটি পারিবারিক রাজবংশের অবসান ঘটেছে। কয়েক দশক ধরে শ্রীলঙ্কা নিয়ন্ত্রণে রাজাপাকসে পরিবার।

তবে যাওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়ে যান। এরপর ২০ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রনিল বিক্রমাসিংহে।